অন্যের সঙ্গে সহবাসে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন স্বামী আমিরুল ইসলাম । গত শনিবার, ১০ মার্চ বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার, ১০ মার্চ স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা নারী। দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই দম্পত্তির ঘরে তিনটি সন্তান আছে।
ভুক্তভোগী নারী জানায়, তার স্বামী আমিরুল বেশ কয়েকদিন থেকে তাকে শারীরিক নির্যাতন করত এবং অন্য পুরুষের সাথে সহবাসের কুপ্রস্তাব দিত। এমন প্রস্তাবে রাজি না হলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিত এবং খাওয়া-দাওয়ার খরচ বন্ধ করে দিত। এমন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গত ৭ মার্চ শনিবার বালিয়াডাঙ্গীতে ননদের বাড়িতে বিচার দিতে গেলে সেখানে স্বামী আমিরুল উপস্থিত হয়। সেখান থেকে জোর করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং হাত-পা বারান্দায় পিলারের সাথে বেঁধে ব্লেড দিয়ে তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। তার কান্নার শব্দ শুনতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমিরুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, নির্যাতনের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিচার দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তার স্বামী আমিরুলের বিচার এলাকায় কেউ করতে চায় না। বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে ননদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতিবেশী হালিমা বেগম বলেন, আমিরুল তার স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করত। কারো নিষেধ সে মানত না। গত শনিবার বিকেলে আমিরুল তার স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করছে। এ সময় তাকে দিয়ে জোরপূর্বক রেকর্ড করে নিয়েছে যে, তার মাথা সে নিজেই ন্যাড়া করেছে। ঘরের দরজা লাগানো ছিল তাই ভেতরে যেতে পারিনি, ছিদ্র দিয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য দেখতে হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, ঘটনার সত্যতা উদ্ঘটনে পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবি/রাতদিন