পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভাঙনে চরাঞ্চল বন্দরখোলা ইউনিয়নের একটি তিনতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের বৃহদাংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শিবচরের পদ্মায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে আর আড়িয়াল খাঁ নদে ৬ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত অব্যাহত থেকে নদীভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ৭ ইউনিয়নে। পদ্মাতীরবর্তী উপজেলার বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি ও চরজানাজাতে নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই দুপুরে বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটির বৃহৎ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার গভীর রাত থেকে স্কুলটির ভাঙন শুরু হয়।
বিলীন হওয়া স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসেন বলেন, এটি শিবচরের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল। এই চরকে স্কুল, বিদ্যুৎ, পাকা সড়কসহ আধুনিক সুবিধা দিয়ে সাজানো হয়। গত তিন বছর চিফ হুইপ স্যার স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু এবার বন্যা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় স্কুলটি আর রাখা গেল না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চরের স্কুলটিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো রক্ষায় চিফ হুইপ স্যারের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে। কিন্তু দু-তিন বছর স্কুলটি রক্ষা করা গেলেও এ বছর আর সম্ভব হলো না। জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে অন্য স্থাপনা রক্ষার চেষ্টা চলছে।
এবি/রাতদিন