দহগ্রামে দিনভর দফায় দফায় অভিযান, অর্ধশতাধিক চোরাই গরু-মহিষ আটক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় ৪৭ টি মহিষ ও ৯ টি গরু আটক করেছে টাস্কফোর্স ও বিজিবি। দুই দফায় পরিচালিত এই অভিযানে সকালে অংশ নেয় চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স। অপর এক অভিযানে অংশ নেয় বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন।

আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ থেকে ৮ টা পর্যন্ত  টাস্কফোর্সের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালায় বিজিবি।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুর রহমানের নের্তৃত্বে রংপুর ৫১ ব্যাটলিয়নের দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ক্যাম্পের বিজিবি ও দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও আনসারদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স সকালের অভিযান পরিচালনা করে।

পাটগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান, রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটলিয়নের পানবাড়ি কম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাবুল ইসলাম, দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নির্মল চন্দ্র মহন্ত টিমের সংগে ছিলেন।

টাস্কফোর্স সুত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দহগ্রাম ইউনিয়নের মহিমপাড়া এলাকার আমিনুর রহমান ফতুর বাড়ির পিছনে ৬ টি ভারতীয় মহিষ ও মহিমপাড়া সংলগ্ন নদীর ঘাট থেকে ১৭ টি মহিষ ও ৩ টি ভারতীয় হরিয়ানা গরু আটক করা হয়।

আটক গরু ও মহিষ গুলো দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রধানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

আটক পশুগুলোর বিষয়ে  বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

টাস্কফোর্সের এই অভিযানের পরে এদিন আবারো ওই ইউনিয়নে বেলা ৩ টা পর্যন্ত বিজিবি অভিযান চালায় বিজিবি। দহগ্রাম ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা মহিমপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে। রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাবুল ইসলাম এতে নেতৃত্ব দেন।

এসময় ১৬ টি মহিষ ও ৪ টি গরু আটক করে এবং আঙ্গরপোতা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা আঙ্গরপোতা জিরোপয়েন্ট এলাকায় ৮ টি মহিষ ও ২ টি গরু আটক করা হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জেএম/রাতদিন