দিনাজপুরে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পন্ড

দিনাজপুরের খানসামায় বিএনপির বিবদমান দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে পণ্ড হয়েছে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে খানসামা উপজেলার পাকেরহাট বাইপাস এলাকায় চৌধুরী রাইস মিল চত্বরে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।

তবে বিএনপির অপর একটি পক্ষ আনুষ্ঠানস্থলে এসে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানার সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ ঘটনায় কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ একজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। ঘটনা কিছুটা স্বাভাবিক হলে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে স্বল্পপরিসরে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আলম তুহিন বলেন, আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীকে আমরা কোনোভাবেই মানি না। তিনি দলের নতুন সদস্য হয়েও টাকার বিনিময়ে দলের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক পদটি বাগিয়ে নেন। এতে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য নির্যাতিত নেতাকর্মীরা আহ্বায়ক কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে আসছেন।

এদিকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, টাকা দিয়ে কখনই রাজনীতি হয় না। মানুষের ভালোবাসা এবং দল আমাকে আহ্বায়ক কমিটিতে পদ দিয়েছেন বলেই আমি ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পেয়েছি।

কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য নেতাকর্মীদের আগে থেকেই জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে একটি পক্ষ এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

খানসামা থানার ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, ঘরোয়াভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে যে মারামারি বা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই দুটি পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেই।

এবি/রাতদিন