দিনে ‘সাংবাদিক’ রাতে ডাকাত সর্দার!

৯ সদস্যের একটি ডাকাত দল। দলের সর্দার একজন ‘ফটো সাংবাদিক’।  তার নির্দেশে দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি চলছে। ডাকাতির মাধ্যমে লুট করে আনা মালামাল দুই ভাগে ভাগ করে এক ভাগ নেয় সর্দার আর এক ভাগ নেয় দলের সকলে।

ওই সর্দারের নাম মোহাম্মদ হোসাইন। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা বলে এক খবরে জানিয়েছে যুগান্তর অনলাইন। সে বরপা আটিপাড়া এলাকার প্রয়াত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন ডাকাত দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে প্রত্যেকেই সর্দার হিসাবে মোহাম্মদ হোসাইনের নাম উল্লেখ করেছেন।

খবরে বলা হয়, গত ১৬ জুন রাতে সোনারগাঁও উপজেলার সম্ভুপরা গ্রামের মুনজুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি করা হয়। লুটে নেয়া হয় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ১৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকার মালামাল।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ও সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ হোসাইনকে বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে হাজির করা হলে সে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

ছবি : সংগৃহীত

জানা গেছে, মোহাম্মদ হোসাইন  অখ্যাত একটি দৈনিকের রূপগঞ্জ উপজেলার ফটো সংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিতেন। সেই পরিচয়ে গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়ে ডাকাতির স্থান নির্ধারণ করেন। এরপর গভীর রাতে গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন লোকজনের বাড়িতে হানা দেয়, লুটে নেয় সর্বস্ব।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাত দলের একজনকে গ্রেপ্তারের পর সোনারগাঁসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য জানা যায়। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ হোসাইনসহ অন্যদের।

রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল আলীম জানান, ওই নামে রূপগঞ্জ উপজেলায় কোনো সাংবাদিক নেই। আর তাদের উপজেলার সাংবাদিকরা প্রত্যেকেই পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন।

এবি/রাতদিন