খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার, ৩ মে পুরের দিকে ফণী ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। মধ্যরাত নাগাদ এটা খুলনার উপকূল এলাকা অতিক্রম করতে পারে।
এর আগে সকালে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানবে। তবে তা দূর্বল হয়ে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে শুক্র ও শনিবার দিনভর বৃষ্টি থাকবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, উড়িষ্যা রাজ্যে ১৮০-২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোবল মারা ফণী পশ্চিবঙ্গের দিকে যাচ্ছে। সেখান থেকে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে আসবে সন্ধ্যা নাগাদ। বাতাসে গতিবেগ থাকবে ৮০-১০০ কিলোমিটার।
তিনি জানান, সারারাত ফণী সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল অঞ্চলের দিক থেকে ফরিদপুর, ঢাকা হয়ে ভারতের মেঘালয়ের দিকে যাবে।
প্রসঙ্গত প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে আঘাত হেনেছে। বাতাসে এর গতিবেগ ছিল ২০০ কিলোমিটার। এরপর এটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
শামছুদ্দীন আহমেদ জানান, বাংলাদেশে যখন ফণী ছোবল মারবে, তখন এর গতি অর্ধেকে নেমে ৮০-১০০ কিলোমিটার হবে। তিনি জানান, মোংলা, পায়রাবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত বহাল রাখা হচ্ছে। আপাতত এর বেশি বাড়ছে না।
এদিকে ফণীআজ রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবও শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে ঢাকায়ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই কমিটির নয়টি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ওমান ও ইয়েমেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফণী মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ। উপকূলীয় ১৯ জেলায় সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এইচএ/রাতদিন