বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে দেশাত্নবোধক সংগীত প্রতিযোগিতা-২০১৯এ ‘খ’ বিভাগে প্রথম হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী ধৃতি রায়। প্রথম স্থান লাভ করায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের হাত থেকে সনদপত্র ও পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তিনি।
বুধবার, ১২ জুন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এই সনদপত্র ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মো. আনজির লিটন।
পরে প্রধান অতিথি মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র ও স্বর্ণপদক তুলে দেন। পুষ্কার প্রদান শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত পরিবেশিত হয়েছে
ধৃতি রায় জানান, তাঁর এ অসামান্য অবদানের জন্য সংগীত গুরু রতন অধিকারী, বিপ্লব পন্ডিত, জান্নাতুল ইসলাম কবির ও তাঁর ভাই চিন্ময় রায়ের অবদানই বেশি। ধৃতি রায় তাঁর ভবিষ্যতের জন্য সকলের আর্শীবাদ কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় শিশু একাডেমির শিশুগ্রস্থ ভবনের তৃতীয় তলায় আয়োজিত প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক সংগীতে ‘খ’ বিভাগে নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃতি শিক্ষার্থী ধৃতি রায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
এর আগে নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণীর ডালিয়া শাখার মেধাবী শিক্ষার্থী ধৃতি রায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দেশাত্মবোধক সংগীতে একই বিভাগে প্রথম হওয়ার গৌবর অর্জন করেন।
ধৃতি রায়ের বাবা দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট সরকারি কলেজের প্রভাষক নির্মল চন্দ্র রায় এবং মা একই উপজেলার পূর্ব চকরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা কল্পনা বালা দেবী।
এনএইচ/ রাতদিন