পৃথিবীর অন্যতম শান্তিপ্রিয় দেশ নিউজিল্যান্ড। শান্তিপ্রিয় এই দেশটিতে অস্ত্রের লাইসেন্স মেলে মাত্র ২৫ ডলারের বিনিময়ে। আর বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া এ ব্যাপারে কোন তল্লাশীও করা হয় না।
শুধুমাত্র বিমানবন্দরে পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত ডকুমেন্ট দেখাতে হয়। এ ক্ষেত্রে আর কোনো ধরণের তল্লাশি করা হয় না। একজন মানুষ কী জন্য বা কেন আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে চান সে বিষয়ে আর কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় না।
পর্যটকদের জন্য এই দেশে ১২ মাস বা এক বছরের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বৈধ থাকে।
কে কি পরিমাণ গুলি বা আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত সরঞ্জাম কিনতে পারবেন এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই এখানে। এমনকি রাষ্ট্রের কোন ব্যাক্তির কাছে কি রকম আগ্নেয়াস্ত্র আছে তার কোন ধরনের রেজিস্টারও নেই দেশটিতে।
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন জরুরিভিত্তিতে অস্ত্র আইনে বেশ কিছু সংস্কারের কথা বলেছেন। তিনি এক বক্তব্যে বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চ হামলায় অভিযুক্ত ব্রেনটন টেরান্ট ২০১৭ সালের শেষ দিকে এ-ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেয়েছে এবং পরে তিনি অস্ত্র গুলো কিনেছে আইনসম্মতভাবেই ।
জাসিনদা আরডেন আরও বলেন, ‘যখনই নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীরা শুনতে পারেন যে এই ব্যক্তি এসব অস্ত্র বৈধভাবে নিয়েছে এবং বৈধ অস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে, তখন অসংখ্য প্রশ্নের সৃষ্টি হবে আমাদের অস্ত্র আইন নিয়ে । এ জন্যই আমরা দ্রুততার সাথে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো।’
এমবি/রাতদিন