নীল মসজিদে আজানের ধ্বনি শুনতে অমুসলিমদের ভিড়

ইসলামের শান্তির বাণী শুনে মুগ্ধ হয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীরা ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন-এমন ঘটনা নতুন নয় ।

এবার ইউরোপিয়ান দেশ নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডমের নিউ ওয়েস্ট জেলায় অবস্থিত ব্ল‍ুমস্ক বা নীল মসজিদে আজানের মধুর ধ্বনি শুনতে ভিড় জমাচ্ছেন অমুসলিমরা । 

মসজিদটির পরিচালনা কমিটি গত ৮ নভেম্বর থেকে নীল মসজিদে উচ্চস্বরে আজান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । কিন্তু মুসলিম বিদ্বেষীরা এটা জানতে পেরে মাইকে আজান বন্ধ করতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। মুসলিমরা এ বিষয়ে পাল্টা পদক্ষেপ না নিলেও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছিলেন । পরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই গত শুক্রবার থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করে উচ্চস্বরে জুম্মার আজান দেয়া হয়। এ দিনই প্রথম এই মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি বহুদূর পর্যন্ত পৌঁছায়।

আজান বা নামাযের জন্য মোয়াজ্জিনের আহ্বান কেমন লাগে, তা শুনতে এ দিন মসজিদের কাছে অনেক অমুসলিম জড়ো হন । অনেকেই মোবাইলে আযানের অডিও ধারণ করেন ।  তারা বলেন, ‘সত্যিই এক অনন্য অনুভূতি। এই আবেগময় মুহূর্ত সারাজীবন মনে থাকবে। রেকর্ড করা আযান মাঝে মাঝে বাজিয়ে শুনব ।’

মসজিদের প্রধান মতোওয়াল্লি নূরুদ্দিন ওয়াইল্ডম্যান বলেন, ‘মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কিছু দুষ্কৃতিকারী। স্থানীয় অমুসলিমদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে । তারা এ জঘন্য কাজ করতে পারেন না বলেই আমাদের বিশ্বাস । তাই তো তারা আজ জুমার আজান শুনতে সব কাজ ফেলে এখানে এসেছেন। এজন্য তাদেরকে মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই ।

উল্লেখ্য, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ৫০০ মসজিদ রয়েছে। অধিকাংশতেই বিনা মাইকে আজান হয়। কিন্তু রাজধানী শহর আমস্টারডমে অবস্থিত এই দৃষ্টিনন্দন ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদের একটা প্রভাব রয়েছে। সে দিকটা বিবেচনা করেই এখানে মাইকে আজান চালু হয়। ১৯৮০ সালে সংবিধান সংশোধন করে সে দেশের সরকার সব মানুষকে নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্ম পালনের অধিকার দেয়। (সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)

এসকে/রাতদিন