নুসরাত হত্যার রায়ে সরকার সন্তুষ্ট: সেতুমন্ত্রী

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ে সরকার সন্তোষ প্রকাশ করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে দেশের মানুষের সাথে সরকার স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করছে।

রায় ঘোষণা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামির এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তাদের কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। তাহলে নুসরাতের আত্মা শান্তি পাবে। একই সঙ্গে তার পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সকাল থেকেই আদালত এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী জানান, সবাইকে তল্লাশি করে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না আদালত এলাকায়। সকাল থেকে আদালত চত্বরে ভিড় করে আছেন বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী। এসেছেন নুসরাতের সহপাঠী, বন্ধু, স্বজনরাও।

গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ। ওই দিন মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার হন তিনি। ২৮ মার্চ সিরাজকে কারাগারে পাঠানো হয়। আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ও কাউন্সিলর মাকসুদের তত্ত্বাবধানে অধ্যক্ষের পক্ষে মানববন্ধন হয়। একই দিন কাউন্সিলর মামুনের নেতৃত্বে অধ্যক্ষের বিপক্ষেও মানববন্ধন হয়। পরদিন ফেনীর জেলখানায় গিয়ে সিরাজের সঙ্গে দেখা করেন এ মামলার আসামি নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুল কাদের, জাবেদ, রানা, অধ্যক্ষের স্ত্রীসহ সাতজন।

এন এ/ রাতদিন