দ্রুত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা না হলে আগামী বছর থেকে ধান চাষ না করার শপথ নিয়েছেন রংপুরের কৃষকরা। ধানের ন্যায্যমূল্যর দাবিতে বৃহস্পতিবার, ১৬ মে দুপুরে নগরীর সাতমাথার বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে এ হুঁশিয়ারী দেয়া হয়। এসময় চাষিরা মহাসড়কে ধান ফেলে প্রতিবাদ জানান।
কৃষক সংগ্রাম পরিষদ নামের একটি সংগঠন এক কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি থেতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাটে হাটে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র খোলার দাবিও জানানো হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা পলাশ কান্তি নাগ, আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার বাবলু, সদস্য সাত্তার প্রামাণিক, কৃষক আবু তালেব, আতোয়ার মিয়া বাবু, নিপীড়ন বিরোধী নারী মঞ্চের নন্দিনী দাস ও সানজিদা আকতার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। সরকার ১ হাজার ১৪০ টাকা মণ দর ঘোষণা করার পরও খোলাবাজারে কেন মূল্য-বিপর্যয় ঘটেছে তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। তা না হলে কৃষকরা বাঁচবে না।
কৃষকরা জানান, এক মণ ধান বিক্রি করেও একজন শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ হচ্ছে না। উৎপাদন ব্যয়ের অর্ধেক তুলতে না পেরে কৃষকের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে।
এদিকে একই দিন রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে বাসদ (মাকর্সবাদী) রংপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ কৃষকদের বাঁচানোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। এসময় খোলাবাজারে ধানের মূল্য বিপর্যয়েরর প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানে ধানে আগুন দেয় ক্ষুদ্ধ কৃষকরা।
জেলা বাসদ’র (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক ও কৃষকফ্রন্ট জেলা আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহসানুল আরেফিন তিতু, এমদাদুল হক বাবু ও আবুল কাশেম প্রমুখ।
এবি/রাতদিন