লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নেতাকর্মী-সমর্থক ও ৩ পুলিশ সদস্য রয়েছে।
সোমবার, ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ও রফিকুল আলম সভাপতি পদে প্যানেল দেন। প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগে সভাপতি পদের দুই গ্রুপের স্লোগান দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হন। নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী ব্যাপক ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষে পাটগ্রাম থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল দিবস কুমার আহত হন। সংঘর্ষে লিপ্ত উভয়পক্ষের আহতরা হলেন- রিশাদ(২০), শহিদুল ইসলাম(৩০), রিয়াদ(১৮), রায়হান(৩৫), কমিজ(৪০), রুবেল হোসেন(৩০), রুস্তম আলী(২৫), আব্দুল জলিল(৩৫), উজ্জল(৩৫), জবেদ আলী(৩৫), কাদের (৩২), হাবিবুল ইসলাম(২৫), তারেক(৩০), একরামুল হক(৩০), জহুরুল হক(৪০) ও ভুট্টু মিয়া(৩১)। অন্যান্য আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘ওখানে আমাদের কাউন্সিল ছিল । আমি ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন এমপি ওখানে যাচ্ছিলাম। পথেই শুনি দুই সভাপতি প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেধেছে।
দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ ও আহতের এই ঘটনার পরে উপজেলা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এনএ/রাতদিন