পাটগ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক: সিঁড়ি তো নয় যেন পাহাড় ভাঙা

জনগণের দোরগোরায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে সরকারী প্রয়াসের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নে ২০১৭ সালে নির্মান করা হয় নবীনগর কমিউনিটি ক্লিনিক । ৪ নং ওয়ার্ডের নবীনগর গ্রামে এই ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবার ভয়াবহ এক দৃশ্য চোখে পড়ে।

এখানে ন্যুনতম রোগীদের রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটিও নেই। বিপি মেশিন ছাড়াই চলছে অসুস্থ ও গর্ভবর্তী মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা । তারচাইতেও বড় কথা ক্লিনিকের ঝুঁকিপূর্ণ খাড়া সিঁড়ি। এই সিড়ি বেয়ে উঠতে সাধারন মানুষই দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। সেখানে মারাত্মক ঝুকি নিয়ে গর্ভবর্তী ও বৃদ্ধ রোগীরা সেই সিড়ি বেয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, নিতান্ত নিরুপায় হয়ে।

জানাগেছে, সূচনা লগ্ন থেকে ক্লিনিকের নিচে মাটি না থাকায় অনেক উপরে ভবনটি নির্মান করা হয়। আর ভবনে ওঠার জন্য বানানো হয় একটি খাড়া সিড়ি। যাকে এলাকাবাসী ‘মরণের সিড়ি’ বলে ডাকে।

ক্লিনিকে আসা বাউরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নবীনগর গ্রামের মোছা. রেজিয়া খাতুন জানান,‘ ক্লিনিকে খাড়া উচু সিঁড়িতে গর্ভবর্তী মা ও বৃদ্ধদের ঝুঁকি নিয়ে উপরে যেতে হয়। সেখানে নেই প্রেশার মাপার যন্ত্র। রসুলপুর গ্রামের শাহিনুর বেগম জানান,‘ আমরা যারা গর্ভবর্তী মহিলা ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে যাই তাদেরকে এই উচু খাড়া সিঁড়ি দিয়ে উঠত হয়। আবার এখানে ওষুধপত্র ঠিকমত পাই।

কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) আলো আক্তার জানান,‘ এটা ঠিকাদারের গাফিলতি। আসলে সিঁড়ি খুব খাড়া বানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সে সময় অনেকে অভিযোগ করেছিলেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আর বিপি মাপার যন্ত্রর বিষয়টি কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অরুপ পাল জানান,‘ বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।’

জেএম/রাতদিন