পাটগ্রামে গৃহবধু হত্যা, আত্মহত্যা বলে ধামাচাপার প্রচেষ্টায় মামলা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার এক গৃহবধুকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জোংড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মমিনপুর এলাকায় মোছা. আরজিনা বেগম নামের ওই গৃহবধু দুই সন্তানের জননী।

সোমবার, ১১ মে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় গৃহবধু আরজিনা বেগমের (২৬)। তিনি দুই সন্তানের জননী। বিয়ের পর থেকে তাঁকে যৌতুকের কারনে প্রায়ইস্বামী রাসেল (২৮) ও তার পরিবার তাকে মারপিট ও নির্যাতন করত ।

জানা গেছে, বিয়ের সময় লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরপর যৌতুকের জন্য আরজিনার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। নানা অজুহাতে প্রায়ই তাঁর ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী, শ্বশুর, ভাশুরসহ পরিবারের লোকজন। কয়েক মাস আগেও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এর আগে পাঁচবার যৌতুকের জন্য নির্যাতন করার বিষয়ে সালিস-বিচার হয়েছে।

রবিবার, ১০ মে সকালে একই কারণে বেদম মারপিট করে হত্যার পর লাশ ঘরের ধর্নার (টুই) সাথে ঝুলিয়ে রেখে শ্বশুর, ভাসুর, জা ও ননদেরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট মর্গে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা নীলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর খালিশা এলাকার বাসিন্দা মো. আমির উদ্দিন পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

ওই গৃহবধুর স্বামী রাসেলকে প্রধান করে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছে । সোমবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আসামীদের ধরতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।

জেএম/রাতদিন