লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধরলা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে। গতকাল উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ঘাটের পাড় এলাকায় ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবক একজন ভারতীয় নাগরিক।
আজ শনিবার, ১৮ জুলাই বিকালে মরদেহটি বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে জানান পাটগ্রাম থানা পুলিশ ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার, ১৭জুলাই দুপুরের দিকে উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ঘাটের পাড় এলাকায় ধরলা নদীতে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ নদীর পানিতে ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তারা থানা পুলিশে খবর দেন।
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ স্থানীয় বুড়িমারী স্থলবন্দর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের অজ্ঞাত লাশ নদীর পানিতে ভেসে থাকার খবর দেন ও যুবকের লাশ উদ্ধার ও শনাক্তের বিষয়টি বিজিবির মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে জানান।
এরপর বিএসএফের মাধ্যমে ওই রাতেই মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়। মৃত ওই যুবকের নাম সুভাশিষ রায় (৩০) । তিনি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার সুভাষ নগর গ্রামের গোপাল চন্দ্রের ছেলে।
তিনি গত ১৬ জুলাই বিকালে তার বাড়ীর পাশের স্থানীয় জদ্দা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
পাটগ্রাম থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর আজ শনিবার লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়।
পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল হক মরদেহ উদ্ধার ও পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সময় কোথাও আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত ওই যুবক ভারতের নাগরিক। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে মরদেহটি বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
জেএম/রাতদিন