লালমনিরহাটের পাটগ্রামে প্রাণ কম্পানির নাম ব্যবহার করে নকল সেমাই উৎপাদন ও বিক্রি করার দায়ে ১ ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম বিপ্লব হোসন বাবু । তিনি হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে।
সোমবার, ২৭ এপ্রিল এছাড়াও আরও ৭ জন কে ১১ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অপ্রয়োজনে অযথা বাড়ির বাইরে বের হওয়া , সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা না মানা , নির্ধারিত সময়ের পরও দোকান খোলা রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে তাদের জরিমানা করা হয় ।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালিয়ে ওই ৮ ব্যক্তি কে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রাণ কম্পনির নাম ব্যবহার করে নকল সেমাই তৈরি ও বিক্রি করা হচ্ছে বলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে পাটগ্রাম পৌর বাজারে অভিযান চালান হয়। এ সময় ইজিবাইকে করে পাটগ্রাম পৌর বাজারে প্রাণ কম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে নকল সেমাই বিক্রি করার সময় মো. বিপ্লব হোসন বাবু নামের এক ব্যক্তি কে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
পাটগ্রাম ইউএনও তার এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, প্রাণের নকল এসব সেমাই হাতীবান্ধায় উৎপাদন করা হতো। তবে এই এই নকল সেমাই তৈরীর কারখানা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এ ছাড়াও সামাজিক দুরত্ব না মানাসহ অন্যান্য অপরাধে আরও ৭ ব্যক্তি কে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । এ সময় পাটগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিল।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রাণ কম্পানির নাম ব্যবহার করে নকল সেমাই উৎপাদন করার দায়ে ১ ব্যক্তিকে ভোক্তা অধিকার আইনে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি জানান, আমরা উপজেলায় করোনাভাইরাসে সচেতনতা সম্পর্কে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। যারা সচেতন হচ্ছে না তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।
জেএম/রাতদিন