লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মিজানুর রহমান (২০) নামের ওই যুবক উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হন।
বুধবার, ২৪ জুন দিবাগত শেষ রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে আদিতমারী সীমান্তে বিএসএফের নিযার্তনে এক যুবক মৃত্যুবরণ করে। জানুয়ারীতে বুড়িমারী সীমান্তে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে বিএসএফের বিরুদ্ধে। এছাড়াও গতবছরের ৭ জুলাই পাটগ্রামের শ্রীরামপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন সকালে মিজানুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কালী প্রসাদ সরকার ও পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত।
নিহত মিজানুর রহমান উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলীবাড়ী সীমান্তের নাসিম উদ্দিন ভুট্টুর ছেলে।
রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সুলতান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মিজানুর রহমানসহ পাঁচ-সাতজনের একটি দল গরু আনার জন্য পূর্বজগতবেড় এলাকার শমসেরনগর সীমান্তে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে ভারতীয় রানীনগর ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চুয়াংগারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যদের গুলিতে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়াপ্রতিবাদ পত্র দিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানোর প্রস্তুতি চলছে। মৃতদেহ বর্তমানে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলে জানান তিনি।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কালী প্রসাদ সরকার জানান, গত রাতে সাড়ে চারটার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি গুলিতে নিহত মিজানুর রহমানকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিজানুর রহমানের মাথার পেছন দিক থেকে গুলি করা হয়। তবে গুলিটি মাথার ভেতরেই রয়েছে। দূর থেকে গুলি করার কারণে সেটি বের হয়ে যায়নি। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।