দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় ২ মাসে অর্ধ শতাধিক মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদী কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রীতম সাহা।
জানা গেছে, রেলওয়ে জংশনের বদৌলতে গড়ে উঠা শহরসহ উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ মাদকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষার জন্য পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠে। চলতে থাকে মাদক বিরোধী অভিযান।
এরই ধারাবাহিকতায় পার্বতীপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রীতম সাহা বেশ জোরে শোরেই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি চলতি বছরের গত ২ মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে অর্ধ শতাধিক মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীকে কারা ও অর্থদন্ড প্রদান করেছেন।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল-মামুন এর সাথে এই প্রতিবেদকের। তিনি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রীতম সাহা’র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে রেলওয়ে এলাকায় মাদকবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গত ২ মাসে ১৯ জন মাদক সেবনকারী ও মাদক বিক্রেতাকে কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এই সময়ে ট্রেন যাত্রীদের পকেট মারার অপরাধে আরও ৭ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রেলওয়ে এলাকা ছাড়াও এ সময়ে পার্বতীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকসেবন ও বিক্রির অপরাধে কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পার্বতীপুর উপজেলার সহকারী কমিশন (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রীতম সাহা বলেন, মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। মাদকবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
জেএম/রাতদিন