পীরগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল: জমি নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন, প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

রংপুরের পীরগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে জমি নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। নির্দেশনা পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন নতুন করে পৃথক দুই স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তবে তা মেনে নিতে পারছেন না এর আগে প্রায় ২০০ একর জমি নির্বাচন করা রাউতপাড়া ও ঘোষপুরবাসী। ক্ষুদ্ধ এলাকার লোকজন পূর্বে নির্বাচিত এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের দাবিতে মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, দেশে পরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে মহাসড়ক সংলগ্ন কমপক্ষে ২০০ একর জমি নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্দেশনা দেয়। ওই নির্দেশনায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক লাগোয়া পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নের রাউতপাড়া ও ঘোষপুর গ্রামে ২০০ একর জমি নির্বাচন করে। পরে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠায়।

অপরদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে রাউতপাড়া ও ঘোষপুরের জমি মালিকরা গণস্বাক্ষর দিয়ে স্মারকলিপি দেয়।

তবে গত ২৫ এপ্রিল মহাসড়ক থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে টুকুরিয়া ইউনিয়নের হরনাথপুর গ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার আরেকটি সপ্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের জাহিদপুর গ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি নির্বাচন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

বিষয়টি রাউতপাড়া ও ঘোষপুরের জমি মালিকরা জানতে পেরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। জমি মালিক রাউতপাড়ার ফজলুল হক মন্ডল বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে আমাদের গ্রাম, এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব পাঠানোয় আমরা খুবই আশাবাদী। যত জমির প্রয়োজন, আমরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এখন প্রশাসন যেভাবে টানাহেচড়া করছে। তাতে আমাদের এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল নাও হতে পারে।’

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন। যদি রাউতপাড়া ও ঘোষপুরের জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা না হয় তাহলে তারা আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

পীরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘ঘোষপুর ও রাউতপাড়ায় ২০০ একর অধিক জমি নির্বাচন করে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রথমে। পরে আরও দুটি এলাকার জমি নির্বাচন করেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

এবি/রাতদিন