রংপুরের পীরগঞ্জে রাসেল মিয়া (৩৪) নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজের বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন ওই শিক্ষক। এদিকে লজ্জ্বায় ওই শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার চৈত্রকোল এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক রাসেল মিয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন। বিষয়টি ফাঁস হলে গত ২৭ মার্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি জরুরী সভা করে। পরে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিে গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি ছাবেদ আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমরাই নিষ্পত্তি করবো। প্রয়োজনে আরও সময় নিয়ে তদন্ত করা হবে।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, ওই শিক্ষককের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার চেষ্টা চলছে। এটি করা হলে তারা ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে পাঠাবেন না।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ সরকার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ওই ছাত্রীর পরিবারসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করায় শিক্ষক রাসেলকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেছি। তবে তিনি ছুটি নেয়নি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল মিয়ার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
এইচএ/রাতদিন