ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬৮ জন পুলিশ সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তারা এই তালিকায় রয়েছেন।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ১৮ জন সদস্য এবং বরখাস্ত হিসেবে চূড়ান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে ১০ জনের বিরুদ্ধে এবং ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ২৫ জনের বিরুদ্ধে। মুলতবি দেয়া হয়েছে ৫১ জন সদস্যকে।
রোববার, ২২ নভেম্বর ডিএমপির মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক পরিসংখ্যানে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এর মধ্যে এসআই ৭ জন, সার্জেন্ট ১ জন, এএসআই ৫ জন, নায়েক ৫ জন এবং কনস্টেবল ৫০ জন।
এছাড়া মাদক সেবন, বিক্রি, মাদক দিয়ে ফাঁসানো এবং উদ্ধারকৃত মাদক তুলনায় কম দেখিয়ে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন পুলিশের আরও ২৯ জন সদস্য। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন ৬ জন, যাদের মধ্যে ১ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
এ তালিকায় মাদক বিক্রির সাথে ১০ জন, মাদক সেবনের সাথে ৫ জন, মাদক দিয়ে ফাঁসানো সাথে ১০ জন, উদ্ধারকৃত মাদক তুলনায় কম দেখিয়ে অর্থগ্রহণের অভিযোগে ৪ জন রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ডোপ টেস্টে এখন পর্যন্ত মোট অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ৬৮ জন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে ৪৩টি। বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ২৫ জনের বিরুদ্ধে। সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি হয়েছে ১৮ জনের বিরুদ্ধে এবং বরখাস্তের চূড়ান্ত আদেশ জারি হয়েছে ১০ জনের বিরুদ্ধে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদক সেবন ও এর কারবারে জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধারাবাহিক ডোপ টেস্টে সবশেষ ৬৮ জনের ফল পজিটিভ এসেছে। চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় তাদের সবার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ২৬ জন পুলিশ সদস্যকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে চিহ্নিত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
এনএ/রাতদিন