আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পর যখন মানুষের মুখে হাসি ফোটে তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে ‘ঈদ উপহার’ হিসাবে প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘর তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সব থেকে ভালো লাগে যখন দেখি মানুষ ঘর পাওয়ার পর মুখে হাসি ফুটেছে। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন।
‘সব মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য এই কাজটি আমরা করব। যাতে এই বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে দেশের ৪৯২টি উপজেলার এসব অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ হিসাবে মঙ্গলবার বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর তুলে দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। বলেন, যে জাতি বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে সেই জাতি কখনও পিছিয়ে থাকতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা অস্ত্র তুলে নিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন সেই শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ২ শতক জমির সঙ্গে ঘর পেয়েছেন দেশের ভূমি ও গৃহহীন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯ পরিবার।
দেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রকল্প নেওয়া হয়। এর আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানান সচিব।