বগুড়ায় বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রী ধর্ষণ, অভিযুক্ত স্বামী আটক

বগুড়ায় বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত সেই স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত ওই নারী হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শহরের ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শাজাহানপুর থানায় গৃহবধূর বাবার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনালে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গীকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। স্ত্রীকে ধর্ষণকারী তার সেই সঙ্গী কে ছিল তা জানাতে অস্বীকার করে সে। তাকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।

এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগটি তদন্ত শেষে রোববার সকালে তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় তার স্বামীকে প্রধান আসামি করা হয়। আর অজ্ঞাত দেখানো হয় ধর্ষণে অভিযুক্তকে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে  ওই গৃহবধুকে নিয়মিত নির্যাতন করতো তার স্বামী। এর এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে তার মেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এছাড়া তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ওই নারীর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত অভিযুক্ত এই ব্যক্তি কয়েকদিন পর পর বাসায় আসতেন। তার সঙ্গে একাধিক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদও হতো। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তার স্ত্রী হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বাড়ির বাইরে আসেন। এ সময় তার জামায় আগুন জ্বলছিল এবং দু’হাত বাঁধা ছিল। এ দৃশ্য দেখার পর স্থানীয় এক ব্যক্তি আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী সকালে তার এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তারা দু’জনে মিলে তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর স্বামী তার বন্ধুকে ওই ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে বলে। ধর্ষণের পর তাকে মারপিটের পর মাথার বেশ কিছু চুল কেটে ফেলে । এক পর্যায়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

জেএম/রাতদিন