রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভির উল ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি ওই ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক।
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তার আইনজীবী এহেসানুল হক সামাজী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে সাতদিনের রিমান্ড শেষে ৮ এপ্রিল তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। গত ৩১ মার্চ তাসভির উল ইসলামের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
৩০ মার্চ বারিধারার নিজ বাসা থেকে টাওয়ারের নকশাবহির্ভূত ও বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ণ (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। আহত হন আরও ৭৩ জন। ৩০ মার্চ এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর জোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি, অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করে।
ব্যবসায়ী তাসভির রাজনীতিতে আসেন ২০০৬ সালে। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান।
তবে তার বড় ভাই প্রয়াত এ কে এম মাঈদুল ইসলাম বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। পরে এরশাদের আমলেও মন্ত্রী হয়েছিলেন মাঈদুল। দশম সংসদেও জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি।
এইচএ/রাতদিন