চলতি বছরে বন্যায় গাইবান্ধায় নদীভাঙনে ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ২৭৪টি বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বিলীন হওয়া এ বিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, নদীভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে ফুলছড়ি উপজেলার হাড়ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধলিপাটাধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈতকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জামিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তালিকায় আরও রয়েছে, আঙ্গারিদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর উপজেলার চিথুলিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিথুলিয়াদিগর নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজেচিথুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌলভীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজান বুড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরপূর্ব লালচামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্কুলগৃহ বিলীন হওয়ায় এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তাছাড়া ২৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ, আলমারিসহ নানা ধরনের আসবাবপত্র পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে।
বর্ষা এখনো শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতি ও ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রসংগে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, ভাঙনরোধে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এ মুহূর্তে কোনো কর্মসূচি নেই।
জেএম/রাতদিন