বিএনপির ডাকা হরতালের প্রভাব নেই রাজধানীতে

রাজধানীর জনজীবনে তেমন প্রভাব পড়েনি বিএনপির ডাকা রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে। দোকানপাট যেমন খুলেছে, তেমনি রাস্তায়ও যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক।

শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঢাকার দুই সিটি করোপরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে ডাকা এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম শনিবার রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা যায়, দোকানপাট অন্যান্য দিনের মতোই খোলা। সড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও চলছে। খবর সমকালের।

রোববার, ২ ফেব্রুয়ারি সকালে মিরপুর, ফার্ম গেইট, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আসাদগেইট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন গন্তব্যের বাস চলছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট খোলা রয়েছে।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান, তিনি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তেজগাঁও এলাকায় গেছেন বাসে চড়ে। রাস্তায় কোথাও হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বা বাধা দেওয়ার দৃশ্য দেখেননি। তিনি বলেন, রাস্তায় হরতালের কোনো প্রভাব চোখে পড়েনি। রাস্তার দুই পাশে গাড়ির চাপ ছিল অনেক বেশি। মনেই হয়নি আজ হরতাল।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো মিছিল বা বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে হরতাল ঘোষণার পর তা কঠোরভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পরিবহনমালিক-শ্রমিকেরাও হরতালে গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

জেএম/রাতদিন