নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে এক আ.লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম তপন কুমার সরকার (৬৮)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
রোববার, ৩ মার্চ রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান।
তপন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব কুমার সরকারের বড় ভাই। সেই প্রার্থীরই ‘কিল-ঘুষিতে’ তার বড় ভাই মারা গেছেন বলে আ.লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
তবে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘নৌকার লোকজন আমার অসুস্থ ভাইকে জোর করে বাড়ি থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে’।
মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপ্লব ভোটে নামলেও তার ভাই তপন আ.লীগ প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান দুলু সাংবাদিকদের জানান, তপনসহ বেশ কয়েকজন ওই ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব তার সমর্থকরাসহ মাইক্রোবাসটি থামিয়ে তপনকে নামিয়ে নেন।
আ.লীগের ওই নেতা আরোও অভিযোগ করেন, ভাইয়ের পক্ষে কেন প্রচারণা চালাচ্ছেন না বড় ভাই এমন প্রশ্ন করে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুভাই। বিতন্ডার এক পর্যায়ে ছোট ভাই বিপ্লব তার ভাইকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে তপনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সময় আ.লীগ নেতা আতাউর রহমান দুলুও ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘বড় ভাই এমনিতেই হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। আমার ধারণা ওই মাইক্রোবাসেই তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু এখন আমার উপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে।’
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন আর রশীদ জানান, মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তদন্ত এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জে।
এবি/রাতদিন