রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকা ডায়নামাইটস পা রেখেছে ফাইনালে। মিরপুরে বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী রংপুরকে ১৪২ রানে আটকে দিয়ে ২০ বল বাকি রেখেই জিতেছে ঢাকা।
শুক্রবারের ফাইনালে খেলবে ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা। তারা খেলবে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুরের শুরুটা ছিল দলের জন্য আশা জাগানিয়া। যথারীতি প্রথম দুই ওভার দেখে খেলেছেন গেইল। তৃতীয় ওভার থেকে ঝড়ের শুরু করলেও বেশিদুর এগুতে পারেন নি।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নাদিফ চৌধুরী চতুর্থ ওভারে শুভাগত হোমের বলে ছক্কা মারেন টানা তিনটি।
হ্যাটট্রিক ছক্কার পরই আসে হ্যাটট্রিক উইকেট। শুভাগত ওই ওভারের শেষ বলে আরেকটি ছক্কার চেষ্টায় আউট হন নাদিফ। তিনি করেছেন ১২ বলে ২৭ রান।
পরের ওভারের প্রথম দুই বলে রুবেল পান দুটি উইকেট। অনেক বাইরের বল শুরুতে ছেড়ে দিয়েও শেষ মূহুর্তে ব্যাট চালান গেইল। ১৩ বলে ১৫ করে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার রাইলি রুশো আউট হন প্রথম বলেই। শর্ট ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট খোয়ান এই সর্বোচ্চ রানের মালিক।
১২ ওভার শেষে রংপুরের রান ছিল ৩ উইকেটে ৯৮। বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে রংপুর।
ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন বোপারা ও মিঠুন।
একমাত্র রবি বোপারাই বিরুদ্ধ স্রোতের বিপরীতে করেন ৪৩ বলে ৪৯ রান। ৩৬ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায় রংপুর।
অধিনায়ক মাশরাফি প্রথম ওভারেই উপুল থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও এনড্রু রাসেলের দৃঢ়তায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রংপুর।
প্রাপ্তির মধ্যে রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি ২২ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে উঠে যান টুর্নামেন্টে উইকেট শিকারের শীর্ষে।
সাকিবের নেতৃত্বে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠল ঢাকা। ছয় আসরে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠতে পারলেন না অধিনায়ক মাশরাফি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ১৯.৪ ওভারে ১৪২ (গেইল ১৫, নাদিফ ২৭, মিঠুন ৩৮, রুশো ০, বোপারা ৪৯, হাওয়েল ৩, মাশরাফি ০, নাহিদুল ৪, ফরহাদ ২, শফিউল ০, অপু ০*; রাসেল ৪-০-৩১-২, রুবেল ৩.৪-১-২৩-৪, শুভাগত ১-০-১৮-১, সাকিব ৪-১-২৯-১, নারাইন ৪-০-১৮-০, অনিক ৩-০-২১-২)।
ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৬.৪ ওভারে ১৪৭/৫ (থারাঙ্গা ৪, নারাইন ১৪, রনি ৩৫, সাকিব ২৩, পোলার্ড ১৪, সোহান ৯*, রাসেল ৪০*; মাশরাফি ৪-০-৩২-২, ফরহাদ ১-০-১৩-০, অপু ৩.৪-০-৪৭-১, শফিউল ৩-০-২০-০, নাহিদুল ২-০-১৬-০, হাওয়েল ৩-০-১৭-১)।