উজানের ঢল ও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিস্তির্ণ এই এলাকাজুড়ে বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাপাড়ের মানুষরা, তবে এ আশংকা নাকচ করে দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সোমবার, ২০ জুন দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিন্টার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার ভোরের দিকে বিপৎসীমার নিচে থাকলেও দ্রুত তা বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৯টার পর থেকেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী ৫ উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাড়ের মানুষ বড় বন্যার আশঙ্কা করলেও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছে। ভারতে পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। তাই ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমে যাবে বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখা। তাই আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসন পানিবন্দি পরিবারের তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম। তালিকা পেলে বরাদ্দ নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানির প্রবাহ রাত থেকে বাড়ছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
জেএম/রাতদিন