লালমনিরহাটে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পেড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ, দায়ীদের আইনের আওতায় আনা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী তিথি সরকারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ৯টি প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের ১৬ জন সাবেক ছাত্রনেতা।
রোববার, ১ নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৮ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মোহম্মদ শহীদুন্নবীকে গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে এবং আগুনে পুড়িয়ে পৈচাশিকভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আমরা সাধারণ নাগরিক হিসেবে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
একই সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডির কথিত ধর্ম অবমাননার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার আদেশ অনৈতিক। এর আগেও দেখা গেছে, একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কক্সবাজারের রামুতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভোলায় একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে প্রচুর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে এ সব ঘটনার নিন্দা জানাই এবং দেশের সব প্রগতীশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে ওই সব অন্ধাকারের অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতা ছাত্রনেতারা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি আবু নাসের অনিক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্র জোটের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম উদ্দীন, ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ খান, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান সমুদ্র, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাশিস সমাদ্দার শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।
এনএ/রাতদিন