লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজবে আবু ইউনুস মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় একজন ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)। হাফিজুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি বুড়িমারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল মধ্যরাতে বুড়িমারী বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দায়ের তিন মামলায় ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিবি জানায়, জুয়েল হত্যা এবং পুলিশের ওপর হামলা ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর মামলায় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম দীর্ঘ দিন পলাতক থেকে শুধুমাত্র হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তবে পুলিশের উপর হামলা মামলায় ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে হাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় বুড়িমারী মসজিদে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের শালবন এলাকার আবু ইউনুছ মো. সহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত বাদি হয়ে পৃথক-পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। তিন মামলায় ১১৪ জন নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়।
তিন মামলার ৪৮ ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর আদালতে আত্মসম্পর্পন করেন ৫ জন। এর মধ্যে ১৭ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তিন মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৮ ব্যক্তি জামিনে রয়েছেন।
এইচএ/রাতদিন