তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যা নিয়ে ঘোলা পানিতে রাজনীতি না করার জন্য বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যা নিয়ে তারা (বিএনপি) পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা অতীতেও পানি ঘোলা করার চেষ্টা করেছে, তবে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
বিএনপি’র ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে হাছান বলেন, বিএনপি নেতারা যদি পানি ঘোলা করতে চায় এবং ঘোলা পানিতে রাজনীতি করতে চায় তাহলে কঠোরভাবে তাদের প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, কারো ব্যাপারে কোন দাবি তোলার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আবরার হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন বেশিরভাগ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই আশ্বাস দিয়েছেন, আবরার হত্যাকান্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি শাসনকালে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপ ছাত্রের মধ্যে টেন্ডার নিয়ে ক্যাম্পাসে বন্দুক যুদ্ধে বুয়েটের ছাত্রী সাদেকুন নাহার সনি নিহত হয়।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এ হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দিতে ছাত্রদল অথবা বিএনপি কি কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দিল্লী সফর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ব্যাপারে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি নেতারা) এ চুক্তি পড়েওনি তবুও তারা এ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং চুক্তির ব্যাপারে কর্মসূচি দিয়েছে।
বিএনপি’র রাজনীতি মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে একথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন ডেকে মিথ্যা বলছেন এটা আপনাদের (বিএনপি নেতৃবৃন্দ) রাজনীতি।’
সরকার সব সময় সমালোচনাকে স্বাগত জানায় একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সমালোচনা করুন তবে অজ্ঞের মতো নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, তারা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে যে সরকার প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করবে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে যে ভারতে রফতানি হবে এলপিজি, প্রাকৃতিক গ্যাস নয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করবো এবং মূল্য সংযোজনের পরে বোতলে করে এই গ্যাস রফতানি করবো।’
হাছান বলেন, একটি সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, ভারত বঙ্গোপসাগরে রাডার বসাবে, এটি ভুয়া এবং মনগড়া খবর।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে অবৈধ মাছ শিকার রোধে রাডার বসানোর জন্য ভারত আমাদের মঞ্জুরি দেবে। রাডার হবে কোস্ট গার্ডের সম্পদ এবং তারা এগুলো পরিচালনা করবে।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম এবং আক্তার হোসেন, স্বাধীনতা পরিষদ সভাপতি জিন্নাত আলী খান, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ নওশেদ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বক্তব্য রাখেন।