ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষরা আর কাঁদবে না, চিলমারীতে হবে নৌবন্দর: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ব্রহ্মপুত্রের বাম ও ডানতীরে বসবাসকারী নদী পারের মানুষদের আর কাঁদতে হবে না- এমনটা বলছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন। শুধু তাই নয়, একনেকে চিলমারী নৌ বন্দর নির্মাণের জন্য ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর ফলে এ এলাকার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট পুরোটাই পাল্টে যাবে।

রোববার, ৪ জুলাই দুপুরে ব্রহ্মপুত্রের বাম তিরে জিও ব্যাগ ফেলে উদ্বোধননকালে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৈলমারী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত ঘুঘুমারী নামক এলাকায় এই উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্রের দু’পাশের যে সব স্থানে বিগত দিনে ভাঙন ছিল, সে সব স্থানে ভাঙন রোধে ৩৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। যে সব স্থানে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে, সেখানে জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডিজাইন ইউনিট সরেজমিন পরিদর্শন করে ডিজাইন করবে। এরপর টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করা হবে। এসব কাজ ও নৌ বন্দরের কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রামের রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর উপজেলার নদী পাড়ের মানুষকে আর কাঁদত হবে না।

পরে তিনি রৌমারী উপজেলা র খেদাইমারী, বলদমারা, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ও রাজিবপুরের কোদালকাটি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উনয়ন বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ , তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, উপ-প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, শাখা প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, রৌমারী প্রোসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুর কুতুবুল আলম টুল্লু ও বাদশা মিয়া রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার প্রমূখ।

জেএম/রাতদিন

মতামত দিন