রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এলাকায় বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। এসব অঞ্চলে ঘাটতি সামলাতে ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে।
অপরদিকে ভারতের ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ফলে কুমিল্লা অঞ্চলে তেমন সংকট নেই। আরও বাড়তি বিদ্যুৎ আমদানি করা হলে কুমিল্লা অঞ্চলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি গ্যাসভিত্তিক সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ওই অঞ্চলে।
এই অবস্থায় কুমিল্লা অঞ্চলের পরিবর্তে উত্তরাঞ্চল দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির কথা চিন্তা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
গতকাল সোমবার, ২৬ আগস্ট রাজধানীতে বিদ্যুৎ খাতের সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভারত-বাংলাদেশের দু’দিনব্যাপী বৈঠকের দ্বিতীয় দিন এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আহমেদ কায়কাউস বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ভারত থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। আরও বাড়তি বিদ্যুৎ আমদানি করা হলে কুমিল্লা অঞ্চলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হবে। আর গ্যাসভিত্তিক সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ওই অঞ্চলে। ফলে কুমিল্লাঞ্চল দিয়ে না করে উত্তরাঞ্চল দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবর্তে কম দামে বিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।’
টেকনিক্যাল টিম সমীক্ষা করে অর্থনৈতিক ও টেকনিক্যালি সফলতার সম্ভাবনা দেখলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান আহমেদ কায়কাউস।
এ সময় ভারতের বিদ্যুৎ সচিব শ্রী সুভাষ চন্দ্র গার্গিও উপস্থিত ছিলেন।
এইচএ/রাতদিন