কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে গ্রাম আদালতের রায় অমান্য করে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক করেও জমি উদ্ধার করতে পারেননি ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা মৌজার ৬৭ শতাংশ জমি নিয়ে এরশাদ আলী ও বাহার আলী এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এ অবস্থায় এরশাদ আলী ওই জমি দাবী করে পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই গ্রামের ওসমান আলী, মোকাদ্দেছ আলী, আনোয়ার হোসেন, ফজর আলী, নজরুল ইসলাম ও বাহার আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়।
অভেযোগে এসএ ৭৫১ ও ৭৪৭ খতিয়ানভুক্ত ১৪৯৫ ও ১৫৭৯ দাগে মোট ৬৭ শতাংশ জমি খরিদ ও পৈত্রিক এসএ খতিয়ানসুত্রে প্রাপ্ত বলে দাবী করেন এরশাদ আলী।
এর প্রেক্ষিতে গত ১০ জুলাই পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকারের সভাপতিত্বে একটি শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যাবতীয় দলালাদি পর্যালোচনা করে এবং বিবাদী পক্ষ কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গ্রাম আদালত এরশাদ আলীর পক্ষে রায় দেন।
গ্রাম আদালতের রায়ের ১ মাস অতিবাহিত হলেও উক্ত জমি উদ্ধার করতে পারেনি ভুক্তভোগী। গ্রাম আদালতের এই রায় প্রত্যাখান করে ওই জমি জোর পূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন বাহার আলী।
ভুক্তভোগী এরশাদ আলী জানান, বিবাদীগন প্রভাবশালী হওয়ায় আমি উক্ত জমি উদ্ধার করতে পারিনি। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজিউর রহমান জানান, তিনি ওই শালিসী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কাগজপত্রের ভিত্তিতে এরশাদ আলী ওই জমির হকদার। বিবাদীপক্ষকে এই জমি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও শালিশী বোর্ডের সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক সরকার জানান, বিবাদীপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ করা হয়েছিল। শালিসী বোর্ড যাবতীয় কাগজপত্র দেখে এরশাদ আলী ওই জমির বৈধ হকদার হিসেবে রায় দিয়েছে।
জেএম/রাতদিন