মাজহারুল মোর্শেদের কবিতা

প্রেমময়ী রমণী সে ভালবাসে অন্ধের মতো
বুকের নক্ষত্র চিড়ে ভালোবাসে পূর্ণতায় যতো।

অন্তর্লোকে রাশি রাশি প্রেম সমুদ্র জলোচ্ছাসে ভরা
অস্ফুট কথা জমা বুকে তার অন্তরে তবু ক্ষরা।

প্রেমময়ী হৃদয়ে নারী অন্তহীন জাগ্রত প্রেমে
পৌরুষ্য প্রণয়ে সোহাগিনী শাশ্বত জনমে।

প্রেমের প্রভায় জ্বলে রূপের নিস্কাশিত যৌবন
অভিমানী মন অভিলাসী সুগন্ধে ভরে তৃপ্তক্ষণ।

মণিকাঞ্চন হৃদয়ে সহসা ভাসে স্বপ্নের আলিঙ্গন
প্রতিক্ষীত চোখ নির্জনতায় খোঁজে বাহুর বন্ধন।

ফেলে চুলের ছায়া রাত্রির বুকে নদীর মতো শাড়ি
শরীরের চরে জাগে জোয়ার অপরূপ বাহারী।

হে প্রিয়তমা! তুমি ছাড়া জ্বলে নাকো তারার আলো
প্রেমের প্রদীপ তোমার দুরীভুত করে অন্ধকার কালো।

এ জগতে যতো প্রাপ্তি সমভাগী তুমি তার
তবে কেন হবে নারী অবলা, রুদ্ধ কেন দ্বার?

অকাতরে সব বিলিয়ে অন্যের থালা ভরে
দুঃখ যতো নিজের কর পরের সুখের তরে।

নিজের জীবন তুচ্ছ করে অন্যের বুক পূর্ণ করে
মহীয়ান সেতো আপন মহিমায় তবু থাকে অনাদরে।

কখনো মা, ভগ্নি কখনো পত্নি রূপে হাল ধরে
তবুও নুয়ে পড়ে মাথা শির হয় নত গ্লানিতে বুক ভরে।