মায়ের মরদেহ দেখে আহাজারি করতে করতে মারা গছেনে দুই বোন। বড় মেয়ে স্বরজনি বালা (৫০) ও ছোট মেয়ে চৈতী রানী (৩০) তাদের মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মরদেহ দেখতে এলে তারাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের খলিফাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পঞ্চমী বেওয়া নামের ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা বার্ধক্যজনিত জটিলতা নিয়ে মঙ্গলবার মারা যান। তিনি ছয় মেয়ে ও দুই ছেলের মা ছিলেন। তার বড় মেয়ে স্বরজনি বালা একই উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সুশীল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। আর ছোট মেয়ে চৈতী রানী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফারাবাড়ি এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।
মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেই সকালে চলে আসেন ছয় মেয়ে। তারা দিনভর আহাজারি করেন। কেউ কোনো খাবার মুখেই দেননি সারাদিন। সন্ধ্যার খানিকটা আগে স্বামীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করে অচেতন হয়ে পড়েন চৈতী রানী। এ সময় মাইক্রোবাসে ছোট বোনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন বড় বোন। পথে তিনিও অচেতন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, দুই বোনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
পরিবারের অনেকেই বলছেন, চৈতী রানী ও স্বরজনি বালা হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। মায়ের মৃত্যুর শোকে হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন তারা।
জেএম/রাতদিন