মেয়েকে আছড়ে মারলেন বাবা, স্ত্রী-দুই মেয়েকে কুপিয়ে জখম

রত্না নামে ছয় মাস বয়সী কন্যাকে আছড়ে হত্যা করেছেন তার বাবা। এখানেই শেষ নয়, এরপর অপর দুই মেয়ে ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছেন তিনি। আহতদের রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটিয়ে নাজিমুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন।

সোমবার, ১ এপ্রিল সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বছর দশেক আগে নাজিমুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় রশিদা বেগমের। তবে বিয়ের বেশকিছু দিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেয় তিন কন্যা সন্তান।



সোমবার ভোরে ঘুম থেকে উঠেই রশিদা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় নাজিমুল ইসলামের। একপর্যায়ে ছোট মেয়ে রত্না আক্তারকে মাথায় তুলে মাটিতে আছাড় মারেন বাবা নাজিমুল। এতে ঘটনাস্থলে শিশুটি মারা যায়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রশিদা এবং মেয়ে নাজিরা খাতুন (৮) ও রিয়া মনিকে (৫) কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত গৃহবধূর বাবা রশিদুল ইসলাম, পারিবারিক কলহের জেরে নাজিমুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে নাজিমুল ইসলাম আমার মেয়েকে নির্যাতনসহ মারপিট করতো। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মামলাও হয়েছে।

সদর থানা পুলিশের ওসি আবু আককাছ আহমেদ বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় অভিযুক্ত নাজিমুল ইসলামসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

এবি/রাতদিন