গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বর। গ্রাম বাংলার সাধারণ বাড়ি-ঘরের আদলে সাজানো হয়েছে।
কুঁড়েঘরের সঙ্গে বসার মাদুর, মোড়া পাতানো। বাজছে দেশাত্ববোধক সঙ্গীত।
খাবার পরিবেশন করা হয় মাটির পাত্রে। ছিল ভাপা, চিতই, পাটিসাপ্টা,পুলিসহ হরেকরকম দেশী পিঠা। চটপটি, ফুচকা, মুড়ি, মোয়া, নাড়ু, জিলেপিও ছিল। মোগলাই খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয় কাবাব-নান রুটি।
ঠিক এরকমই ছিল শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারির চা চক্র।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে এ চা চক্রের আয়োজন করেন। এই চা চক্রে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এতে আরও অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু), জাপা (মঞ্জু), জাসদ (আম্বিয়া), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, তরিকত ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি ফ্রন্ট।
প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে চা চক্রের অনুষ্ঠান স্থলে আসেন এবং টেবিলে ঘুরে ঘুরে
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে আপনারা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আপনাদের উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সুত্রের বরাত দিয়ে বাসস পরিবেশিত খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর চা চক্রে ৫৪টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দলই চা চক্রে যোগদান করে।
এসেকে/০২.০২.১৯