মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাজশাহীর বোয়ালিয়ার মো. আব্দুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় বুধবার।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায়ের দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর এই মামলার বিচারিক কাজ শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলো ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল ও আইনজীবী জাহিদ ইমাম। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
২০১৭ সালের ২ মে এই মামলার তদন্ত শুরু হয়। পরে ২৭ মার্চ এ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১৮ সালের ২৯ মে এ আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটতরাজ, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুইটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ওই বছরেরই ৮ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আসামি টিপু সুলতান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৪ সালে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর ডিগ্রী কলেজে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে অবসরে যান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘ’ ও পরবর্তীতে ‘ইসলামী ছাত্র শিবির’র রাজনীতি করতেন।
তবে ১৯৮৪ সালের পর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলেও এই আসামি জামায়াতে ইসলামির সমর্থক হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত বলে জানায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ।
২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি বিস্ফোরক আইনের মামলায় মতিহার থানার পুলিশ টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এসকে/রাতদিন
উত্তরের মুখ