ফাঁসির আসামী সোবাহান মাওলানার হাসপাতালে মৃত্যু

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুস সুবহান মারা গেছেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আবদুস সোবহানের ছোট ছেলে নেছার আহম্মেদ নান্নু জানান, তার বাবা গত ২৪ জানুয়ারি কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে তিনি মারা যান।

নান্নু আরও জানান, প্রশাসনিক কোনো জটিলতা না থাকলে তার বাবাকে পাবনার আরিফপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার দায়ে ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সুবহানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ১৯ মার্চ সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেন তিনি।

২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাওলানা সুবহানকে আটক করে। ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

আবদুস সোবহান ১৯৯১ এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে পাবনা -৫ (সদর) আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন নিয়ে সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জেএম/রাতদিন