বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ওমর ফারুক (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। নিহত ওমর ফারুক কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকার মোনাফ কোম্পানির ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ও হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে জাগোনিউজের খবরে বলা হয়, রাতে রোহিঙ্গা ডাকাতসর্দার সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী ওমর ফারুককে নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পাহাড়ে পাশে গুলি করে হত্যা করে। খবর পেয়ে নিহতের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনরা মরদেহ আনতে গেলে ডাকাতদল মরদেহ আনতে বাধা দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, ৫/৬ জন রোহিঙ্গা ডাকাত একসঙ্গে বসে পাহাড়ের পাদদেশে মদপান করে। সেখানে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে জোর করে নিয়ে যায়। রোহিঙ্গারা অতিরিক্ত মদ খেয়ে একপর্যায়ে ফারুকের সঙ্গে তর্কাতর্কিকে জড়িয়ে পড়ে। এরপর কোনো কিছুই বুঝার আগেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, এ রকম একটি ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বা আর্থিক বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।