জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন শেষ পর্যন্ত রংপুরেই হচ্ছে। রংপুরের মানুষের ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এরশাদের গড়া পল্লী নিবাসের লিচু বাগানের নিচেই তার দাফনের অনুমতি দিয়েছেন এরশাদের সহধর্মীনি ও দলের কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
শুধু তাই নয়, পাশে নিজের জন্যও কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ।
এরশাদের ছোটভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাও পল্লী নিবাসে এরশাদকে সমাহিত করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রংপুরে এরশাদের দাফনের সম্মতি জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেছেন, বৃহত্তর রংপুরবাসীর অভূতপূর্ব আবেগে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ ও চিরঋণী হয়ে রইলাম।
এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে রওশন বলেন, “তার মৃত্যুতে আপনারা যে অভাবনীয় শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তার জন্য আমি জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
প্রিয় দেশবাসী, বিশেষত তার প্রাণপ্রিয় রংপুবাসীর আবেগ ও ভালোবাসায় সম্মানার্থে তাকে রংপুরের মাটিতে সমাধিস্থ করার বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার সম্মতি প্রদান করছি।”
রওশন এরশাদের সম্মতির ফলে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন নিয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টির হয়েছিল তার অবসান হলো।
গতকাল সোমবারই পল্লীনিবাসে এরশাদের মরদেহ দাফনের জন্য কবর তৈরি করে রেখেছিলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই দুপুর দুইটা ২৮ মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠি হয়।
জানাজা শুরুর আগে থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের প্রিয় নেতার মরদেহ রংপুরেই দাফনের দাবি জানিয়ে চিৎকার করছিলেন। তবে এসময় এরশাদের ভাই জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ঢাকার বনানীতে এরশাদের দাফনের কথা পূর্ণব্যক্ত করেন। তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে জানাজা শেষ হতে না হতেই সীদ্ধান্ত বদল করে রংপুরে এরশাদের দাফনের সীদ্ধান্ত হয়।