রংপুরের ‘প্রাণ’ শ্যামাসুন্দরীকে বাঁচাতে উদ্যোগ, ‘খালখেকো’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

রংপুর নগরীর ‘প্রাণ’ হিসাবে পরিচিত শ্যামাসুন্দরী খাল এখন দখল-দুষনে মৃত প্রায়। এটি এখন মশার প্রজননস্থল। সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি বর্তমানে প্রায় ৫০০ জন দখলদারের দখলে। ২৩ থেকে ৯০ ফুট প্রশস্ত খালটি এখন ৮ থেকে ১০ ফুটে পরিণত হয়েছে।

আজ সোমবার, ২৬ আগস্ট রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘শ্যামাসুন্দরী খাল পুনরুজ্জীবন ও সচল রাখা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনার কে এম তরিকুল ইসলাম খালটি পুনরুদ্ধারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, রংপুর সেনাবাহিনীর স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার শামস উদ্দিন, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া খানম, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুনার রশীদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামুদ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ১৩০ বছরের পুরণো খালটি তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ডিমলা রাজা জানকি বল্লভ সেন তাঁর মা শ্যামা সুন্দরীর স্মরণে খালটি খনন করেছিলেন। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি নগরীর ভিতর দিয়ে গিয়ে খোকসা ঘাঘটে মিশেছে। ১৮৯০ সালে খালটির উদ্বোধন করা হয়।

আরও জানানো হয়, বর্তমানে খালটি ময়লায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সংস্কার না হওয়ায় পরিণত হয়েছে মশার আবাসস্থলে। অনেকে বাড়ির পয়নিস্কাশনের লাইন খালের সাথে সংযোগ করে দিয়েছেন। বর্তমানে এটি ৪৮২ জন দখলদারের কবলে পড়ে প্রায় নিঃশেষ হয়ে পড়েছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রংপুর সিটি কর্পোরেশন, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারীং কোরের তত্ত্বাবধানে শ্যামাসুন্দরী খাল সচল করা হবে। এছাড়া এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।

‘খালখেকো’দের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে মতবিনিময় সভায়।

এবি/রাতদিন