রংপুরের ৫ জেলায় ছড়িয়েছে করোনা, ৮ দিনে শনাক্ত ৯

রমেকের করোনা ল্যাবে এ পর্যন্ত ৮ দফায় মোট ৪৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে সংগৃহীত এসব নমুনা পরীক্ষায় মোট ৯জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার ৫৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৬ জন) করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়।

১ম ও ২য় দফা: আক্রান্ত নেই

করোনা ল্যাবে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় যথাক্রমে ৪২ ও ২৭ টি নমুনা জমা পড়ে। এসব নমুনা পরীক্ষায় কোন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি।

৩য় দফা: নীলফামারীর ১ জন আক্রান্ত

তৃতীয় দফায় ৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

৪র্থ দফা: মিঠাপুকুরের ১ জন আক্রান্ত

চতুর্থ দফায় পরীক্ষা করা ৫৬ টির মধ্যে একজনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাট এর খন্দকার পাড়ার একজন স্কুলছাত্র।

৫ম দফা: নীলফামারীর ১ জন আক্রান্ত

বৃহস্পতিবার পঞ্চম দফায় ৮৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় এরমধ্যে একজনের করো না শনাক্ত হয়। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরের ২নং ওয়ার্ডে কালীঘাট মধুপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত।

৬ষ্ট দফা: আক্রান্ত নেই

শুক্রবার পরীক্ষা করা ৯৩ জনের মধ্যে কারো শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

৭ম দফা: ঠাকুরগাঁও ২সহ রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটের মোট ৬ জন আক্রান্ত

অন্যদিকে শনিবার এই মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর এর দুইজন এবং পীরগঞ্জের একজন। এছাড়াও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, নীলফামারীর ডিমলা লালমনিরহাট সদরের একজন করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের একজনের বয়স ৫৭ বছর। আর বাকি ৫ জনের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে।  এদের মধ্যে ওই বৃদ্ধ ছাড়া বাকি পাঁচজন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত।

৮ম দফা: আক্রান্ত শূন্য

রোববার, ১২ এপ্রিল এ দফায় মোট ৮০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি।

জেএম/রাতদিন