রংপুরে অপহৃত শিশু সৈয়দপুরে উদ্ধার, পুলিশের জালে আটক অপহরণকারী

রংপুর মহানগর থেকে পাঁচ বছরের শিশুপুত্র আসিফকে অপহরণের ৩৩ ঘন্টা পর নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত  রবিবার, ২ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের নাটোর দই ঘরের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় অপহরণকারী শাহীনকে আটক করা হয়েছে। আটক শাহিনের (১৯) বাড়ি সৈয়দপুর শহরের কয়াগোলাহাট বসুনিয়াপাড়ায়। সে ওই এলাকার ওমারু’র ছেলে বলে জানা গেছে।

 পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগরের  আলমনগর খ্যারবাড়ী এলাকার  মো. আশরাফ হোসেন কাল্লুর ছেলে আসিফ (৫) গত শনিবার (১জুন) বিকেলে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হন। খোজাখুজি-মাইকিং করে না পেয়ে আসিফের নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেন তার বাবা আশরাফ হোসেন কাল্লু। তিনি রংপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ( বিএডিসি) একজন শ্রমিক বলে জানা গেছে।

জিডি করে বাড়ি ফেরার পথে আশরাফের মুঠোফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী শাহিন। মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য তাকে কয়েকটি বিকাশ নম্বরও দেয় অপহরণকারী। পরবর্তীতে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে প্রথমে সৈয়দপুর  রেলওয়ে স্টেশনে এবং পরে শহরের গোলাহাট এলাকায় আসতে বলা হয় অপহৃত আসিফের বাবাকে।

অপহরণকারী শাহীন। ছবি: রাতদিন.নিউজ

মুক্তিপণের টাকা হস্তান্তরের স্থান নিয়ে কয়েক দফা কথার এক পর্যায়ে অপহরণকারী শাহিন অপহৃত আসিফের বাবাকে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের নটোর দই ঘরের সামনে আসতে বলে।

আসিফের বাবা রংপুর থেকে সৈয়দপুরে এসে থানা পুলিশকে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে শিশুপুত্রের অপহরনের ঘটনাটি জানান এবং পুলিশের  সার্বিক সহায়তা চান।

অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরতে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের নাটোর দই ঘরের সামনে অবস্থান নেয়।

আসিফের বাবার সংগে অপহরণকারী শাহিনের টাকা হস্তান্তরের বিষয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় শাহীনের সাথে থাকা অপহৃত আসিফকেও উদ্ধার করা হয়।

 সৈয়দপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ্জাহান পাশা  জানান,  রাতে উদ্ধারকৃত অপহৃত শিশু আসিফ ও অপহরণকারী শাহিনকে রংপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

জেএম/রাতদিন