রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনের মত সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করাসহ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন নার্স, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে রমেক হাসপাতাল। হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এ পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। বুধবার, ২৭ নভেম্বর দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সকালে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মুখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানব-বন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, সোমবার, ২৫ নভেম্বর সকালে এক রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় একজন নার্সের হাত থেকে কয়েক ফোঁটা (ডিস্টিল ওয়াটার) পানি এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের শরীরে ছিটকে পড়ে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্য বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে ঘটনার মীমাংসা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ওই ঘটনার জের ধরে নার্সদের একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেন ইন্টার্ন ডাক্তাররা।
আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ নিয়ে পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে। বিষয়টি সমঝোতায় আনতে মঙ্গলবার দুপুরে ইন্টার্ন চিকিৎসক, স্টাফ নার্সদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহাদৎ হোসেন ও রমেক’র অধ্যক্ষ ডা. নুরুন্নবী লাইজুসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা বৈঠকটি কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়। আর বুধবার আবারও বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বেলা একটা পর্যন্ত বৈঠক শুরুর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এনএ/রাতদিন