রংপুরে হেফাজত নেতা মামুনুলকে প্রতিহতের ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদ

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদ ও ভাস্কর্যবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে রংপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন সংগঠনগুলো। প্রয়োজনে রাজপথে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলোর হুঁশিয়ার দিয়েছে দলগুলো।

আজ রোববার, ৬ ডিসেম্বর দুপুরে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ ঘোষণা দেয় দলটির নেতারা। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

এদিকে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, মৎসজীবী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে রংপুর নগরী।

দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে মহানগরের সভাপতি সফিউর রহমান সফির সভাপত্বিতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, সহসভাপতি কায়সার রাশেদ খান শরিফ, অ্যাডভোকেট দিলশাদ হোসেন মুকুল ও শামীম তালুকদার। আরও বক্তব্য দেন রংপুর মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান স্বাধীন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী মামুনুল গংদের রংপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হচ্ছে। যদি ১১ ডিসেম্বর খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক রংপুর জুম্মাপাড়া করীমিয়া মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে আসার চেষ্টা করে, তার পরিণতি ভালো হবে না। ওই দিন তাকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

এদিকে রংপুর জিলা স্কুল মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রামের হুঁশিয়ারী দেন। তারা বলেন, মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না। বঙ্গবন্ধু ও লাল-সবুজের পতাকা দেখলে তাদের শরীরে আগুন জ্বলে। তাই তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এই মৌলবাদি অপশক্তিদের সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিহত করতে প্রস্তুত।

এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা চৈতী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমাণিক ও জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুমন সরকার প্রমুখ।

অপরদিকে বিকেলে মহানগর যুবলীগ ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে নগরীতে। এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুম মনির বাশার ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন।

এইচএ/রাতদিন