লালমনিরহাটের আনোয়ারা পেলেন জয়িতা পদক

আনোয়ারা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন । তবে প্রত্যন্ত ওই গ্রামে স্যানিটারি পণ্য তৈরির কারখানা গড়ে তুলে ঘুরে দাড়িয়েছেন তিনি । নিজের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা, কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন অনেকের। লালমনিরহাট সদর উপজেলার সীমান্তবর্তি মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা গ্রামে তার বাড়ি।

সেই আনোয়ারা বেগমের হাতে আজ রোববার, ৮ মার্চ অর্থনৈতিক ক্যাটাগরিতে ‘জয়িতা পদক’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অপর চার নারীর পাশাপাশি আনোয়ারার হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আনোয়ারা বেগমের প্রতিষ্ঠিত কারখানায় টয়লেটের রিং-স্লাভ , ঘরের ঘুঁটি ও সীমানা পিলার তৈরি করা হয়। পাশাপাশি রয়েছে মুরগী ও গরুর খামার। ওই কারখানায় উৎপাদিত পণ্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে আনোয়ারা বেগমের স্বামী নির্মাণ শ্রমিক কাশেম আলী এক দুর্ঘটনায় মারা যান। ফলে দুই সন্তান নিয়ে বেকায়দায় পড়েন আনোয়ারা। বাধ্য হয়ে কাজ নেন অন্যের বাড়িতে।

পরবর্তিতে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে স্যানিটারি পণ্য তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ ও পাঁচ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে নিজের বাড়িতে রিং-¯øাভ তৈরির কারখানা চালু করেন আনোয়ারা। এতে অল্প সময়ে বেশ সাড়া পান তিনি। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে তার কারখানার কলেবর। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে থাকে গ্রামের অনেক নারী-পুরুষের। বর্তমানে তার কারখানায় নিয়মিত ৬০জন কর্মী কাজ করছেন। এখন আনোয়ারা মাসিক আয় এক লাখ টাকার বেশি।

ফোনে নারী উদ্যোক্তা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই সন্তান নিয়ে অনাহারে-অর্ধহারে দিন কেটেছে আমাদের। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই, অভাব দূর হয়েছে। আর আজ প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে খুব বেশি ভালো লাগছে।’

এবি/রাতদিন