লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন চেয়ারম্যান পদের দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে জেলায় মোট ১৪ প্রার্থী থেকে গেলেন ভোটের মাঠে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে আছেন আ.লীগ মনোনীত নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, স্বতন্ত্র কামরুজ্জামান সুজন (আ.লীগ বিদ্রোহী) এবং জাতীয় পার্টির জাহিদ হাসান ডাবলু। আর পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন দুইজন প্রার্থী।
আদিতমারীতে চেয়াম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল আলম, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শওকত আলীর ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরুল কায়েস ফারুক (আ.লীগ বিদ্রোহী) এবং জাতীয় পার্টির নিগার সুলতানা রাণী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুরুষ ৫ জন ও মহিলা ৪ জন রয়েছেন চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে।
কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত প্রার্থী আ.লীগ মনোনীত মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। জাতীয় পার্টির নাহিদ হোসেন ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের (ইশা) আশরাফ আলী চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। অপরদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন দুইজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।
কালীগঞ্জে মনোনয়ন জমা দেয়া আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজুর মনোনয়ন বাতিল হয় যাচাই-বাছাইয়ে। আর জেলা আ.লীগের সহসভাপতি তাহির তাহু মঙ্গলবার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
হাতীবান্ধা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত প্রার্থী আ.লীগের লিয়াকত হোসেন বাচ্চু। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেও আ.লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে থেকে গেলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলু, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার হায়াত খান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন রন্টু এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মামুন।
আ.লীগের অপর বিদ্রোহী এম জি মোস্তফা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মঙ্গলবার তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
হাতীবান্ধায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক মাকতুবা ওয়াসীম বেলীসহ ৪ জন ও পুরুষ পদে ৪ জন চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
পাটগ্রামে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন রুহুল আমিন বাবুল। এখানে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন। কিন্তু নিয়ামানুযায়ী ভোটারের স্বাক্ষর কম থাকায় যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
কিন্তু সেখানে মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানির সময় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সেই আপিলের নথি খুঁজে না পাওয়ায় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন শাহীনের আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারি উজ্জ্বল।
ওই আইনজীবী বলেন, ‘নতুন করে আবার ফাইল করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে আদালতের রায় পাওয়া যেতে পারে।’
এদিকে পাটগ্রামে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ৪ জন । আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন বিএনপি নেত্রী লতিফা আক্তার। তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়া অপর এক নারী প্রার্থী প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এমএইচ/রাতদিন